একজন ভালো ডাক্তারের হাতে থাকার সাথে সাথে আপনার মনের জোর থাকাও অনেক জরুরী. আশা রাখা এবং মনের শক্তি নিরাময় হবার পথকে মসৃন করে. এই বছরের বিশ্ব ক্যান্সার দিবসে, Bumrungrad Hospital এর Horizon Regional Cancer Center ঘোষণা করছে আমরা রুগীর মনের জোড় বাড়াবো " আমি আছি এবং আমি থাকবো" এই নীতি অনুসরণ করে. আশা , ইচ্ছাশক্তির সাথে মিলে অন্য যেকোনো শক্তির থেকে অনেক শক্তিশালী.
পরীক্ষা করাবার " ইচ্ছাশক্তি"
পরিসংখ্যানের মতে পৃথিবীতে প্রতি বছর ১৮ মিলিয়ন ক্যান্সার রুগী পাওয়া যায়.
সংখ্যাটা এত ভয়াবহ হলেও, ৪০ শতাংশ ক্যান্সার প্রতিরোধ করা যায় যার বেঁচে থাকার খুব বেশি সম্ভাবনা থাকে. নিজের স্বাস্থ্যের প্রতি খেয়াল রাখা এবং নিয়মিত পরীক্ষা করার মাধ্যমে আগেভাগে ক্যান্সার সনাক্ত করা যায় এবং ক্যান্সারকে গোড়া থেকে নির্মূল করা যায়. উদাহরণস্বরূপ, স্তনের ক্যান্সার খুব সহজেই মাম্মোগ্রামের মাধ্যমে সনাক্ত করা যায় খুব আগেভাগে, এবং এটা ঠিক থাকার সম্ভাবনা ৯৯ থেকে ১০০ শতাংশ ৫ বছরের জন্য.
ইচ্ছাশক্তি একটি লক্ষমাত্রা

আধুনিক ঔষধ এর সাথে সাথে মন ও ক্যান্সারের বিরুদ্ধে লড়াই করবার জন্য বড় ভূমিকা রাখে. সুস্থ হবার প্রথম পদক্ষেপ হচ্ছে আরো বেশি বেঁচে থাকবার জন্য লক্ষমাত্রা ঠিক করা. রেঙ্গুনের কম্পিউটার স্টাডিস বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর টিন মে লুইন, যিনি ২০ বছর ধরে লড়ে চলেছেন, তার মতে, " আমাদের মনের অবস্থ্যা চিকিৎসার জন্য খুবই জরুরি. যদি আমরা মনে করি যে আমরা সুস্থ হবো, তবে আমরা সুস্থ হবো. আমাকে বিশ্বাস করুন , যদি আপনি মনে করেন আপনি সুস্থ হবেননা তাহলে আপনি সুস্থ হবেননা. আমি একটি সুখী জীবন যাপন করতে চাই. ঝোকঁ আমি ডায়াবেটিস এবং ঋধরোগে ভুগছিলাম তখনও আমি আমার সুখকে কেড়ে নিতে দেইনি. "
লক্ষমাত্রা আমাদের ইচ্ছাশক্তিকে প্রভাবিত করে, তখনও, যখন আমাদের পরিবারের কেও ক্যান্সার আক্রান্ত হন. এমনটাই হয়েছে শ্রেয় লয় এর ক্ষেত্রে, যিনি একজন ক্যাম্বোডিয়ার ব্যবসায়ী এবং নাকের ক্যান্সার থেকে সুম্পূর্ণ সুস্থ হয়েছেন, এবং পরে জানতে পেরেছেন যে তার ভাইও একই রোগে আক্রান্ত. " যা হবার, তা হবেই. যদি কিছু হয়ে থাকে আমরা তাকে পূর্বের অবস্তায় নিতে পারবোনা. আমাদেরকে এর বিরদ্ধে লড়াই করে এগিয়ে যেতে হবে. যদি আমার মতো আমার সন্তানেরও ক্যান্সার হয়, আমি সবকিছু চেষ্টা করবো এর থেকে মুক্তি পাবার জন্য." এমনটাই তিনি বললেন.
যা ভালোবাসেন তার জন্য লড়াই করবার ইচ্ছাশক্তি
আপনার মন যখন কষ্ট পে তখন আপনার শরীরও তা বুঝতে পারে; দুশ্চিন্তা শারীরিক লক্ষণে দেখা যায়. আশাহত হলে তা সব কিছুকে আরো খারাপ করে তুলে তাই সবাই মনে করেন, এবং একইভাবে , আশাবাদী এবং বেঁচে থাকবার ইচ্ছাশক্তি থাকলে তা অতি দ্রুত ভালো অবস্তায় নিতে পারে যা ডাক্তার যা আশা করেন তার থেকেও বেশি হতে পারে মাঝে মাঝে. অনেক লোকের ক্ষেত্রে, বেঁচে থাকবার এই আশা পরিবার থেকে এসে থাকে. বাংলাদেশের ৬২ বছরের স্তন ক্যান্সারের রুগী রাজিয়া নাসরীন সুলতানা, তার একমাত্র ইচ্ছা ছিল তার পরিবারকে আবার দেখা যখন তিনি ক্যান্সারের চিকিৎসা নিচ্ছিলেন. " যদিও কেমোথেরাপি আমাকে সুস্থ করছিলো কিন্তু এর পার্শপ্রতিক্রিয়া যেমন মাথাব্যথা, বমি বমি ভাব, ক্ষুধামন্দা ছিল, কিন্তু এসব কে আমি কাটিয়ে উঠতে পারছিলাম কারণ আমি আমার মেয়ে এবং নাতনির কাছে ফিরে যেতে চাইছিলাম. তারা আমার জীবনের সবকিছু. তাদের কারণেই আমি এই চিকিৎসার কষ্টটা মেনে নিতে পারছিলাম" মিসেস রাজিয়া এমনটাই বললেন.
অন্যের প্রতি ভালোবাসা এবং নিজের প্রতি ভালোবাসা দুটিই ক্যান্সারের বিরুদ্ধে লড়াই করবার জন্য অনুপ্রাণিত করে. ৫৩ বছরের ভিয়েতনামের একজন রিয়েল এস্টেট ব্যবসায়ী যার গান গাওয়া অনেক পছন্দ, তিনি বলেছেন. " আমি শুনেছিলাম যদি টিউমারকে নাড়ানো হয় তবে তা আমার সারা শরীরে ছড়িয়ে পড়বে. তাই আমি সাথে সাথে চিকিৎসা করতে যাইনি. কিন্তু যখন আমার মা ক্যান্সারে মারা গেলেন, তখন আমি সিদ্ধান্ত নিলাম আমিও ক্যান্সারের কাছে এভাবে হেরে যেতে চাইনা, কারণ আমাকে একটি পরিবার চালাতে হবে. আরেকটি জিনিস হলো আমি আমার গান গাওয়ার ক্ষমতা হারাতে চাইনা, কারণ গান গাওয়া হলো আমার সবচেয়ে বড় ভালোবাসা. এমনকি আমি গান গেয়ে অনেক পুরস্কারও জিতেছি. আমি যতবার মঞ্চে গান গাইতে যায় আমার খুব ভালো লাগে এবং আমার বন্ধুদের সাথে আমি খুব আনন্দ করি." মিস থি মান, এখন সম্পূর্ণ সুস্থ এবং গানের প্রতিযোগিতায় অংশ নিচ্ছেন.
আগেই যেমন বলা হয়েছে মানসিক এবং শারীরিক উপাদান একটির সাথে আরেকটি জড়িত. বিশেষ করে যখন কোনো রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করতে হয় তখন মনকে অনেক শক্ত রাখতে হয় এই ঝড় কাটাবার জন্য. এই বছরের ক্যান্সার দিবসে, Horizon Cancer Center ঘোষণা করছে ক্যান্সার রুগীদের যত্ন নিবে এবং তাদের মনের জোড় বাড়াবে " আমি আছি এবং থাকবো" এই লক্ষমাত্রা নিয়ে. আশা, ইচ্ছাশক্তির সাথে মিলে অনেক বড় শক্তি হয়.
For more information please contact:
Last modify: February 03, 2021