“গত একযুগ ধরে ক্যান্সারের রূপ খুব একটা পরিবর্তন হয়নি, কিন্তু বায়োপসি এর মাধ্যমে আমরা ক্যান্সারের বিস্তারিত এবং জটিলতা সম্বন্দে আমরা যেই তথ্য পাই তার পরিবর্তন হয়েছে. বায়োপসি- যা একটি টিসু স্যাম্পল নাম এ পরিচিত - হলো একজন ক্যান্সারের ডাক্তারের জন্য প্রধান উপাদান যার মাধ্যমে তারা চিকিৎসা পদ্বতি সম্বন্দে সিদ্ধান্ত নিতে পারেন. বর্তমান সময়ে বায়োপসির পদ্বতি খুবই স্বচ্ছ.
উদাহরণসরূপ সুক্ষ সুই এর মাধ্যমে বায়োপসি ব্যথা,দাগ এবং কোনো ধরণের জটিলতা করেন কেটে টিসু নেবার থেকে. কিন্তু আমাদেরকে খুব সাবধান মতো ক্যান্সারের ধরণ পরীক্ষা করতে হয় এই সুক্ষ একটা টিসু থেকে. এই সুক্ষ টিস্যুটা পরবর্তী পরীক্ষার জন্য রেখে দেয়াটাও জটিল কাজ. " . বুমরুনগ্রাদের প্যাথলজি ডিপার্টমেন্টের সহকারী অধ্যাপক Samornmas Kanngrun উপরের মন্তব্য করেছেন.
চিকিৎসা পন্থার নির্দেশ দেয়া
“সার্জিকাল প্যাথোলজিস্টের প্রধান কাজ হচ্ছে মাইক্রোস্কোপ এর সাহায্যে রুগীর দেয়া টিস্যুর মাধ্যমে তার অসুস্ততা নির্ণয় করা. চিকিৎসা শাস্ত্রের নিয়ম অনুযায়ী আমাদের কাছে সব টিসু পাঠাতে হবে পরিক্ষা করবার জন্য যা রুগী থেকে নেয়া হয়েছে, এমন কি যা দেখতে স্বাভাবিক মনে হয়.
যদি রুগী পেটের ব্যথায় ভুগে এবং এপেন্ডিসাইটিস সন্দেহ করা হয় তবে আমরা এপেন্ডিক্স বের করে আনবো এবং তা পরীক্ষা করে দেখবো যদি অন্য কোনো রোগ এর দেখা পাওয়া যায়. খুব কম সময়ই এপেন্ডিসাইটিস এর ক্যান্সার ও থাকতে পারে. আরেকটি উদাহরণ হলো রুগীর বৃহদন্ত্র polyps পাওয়া যাওয়া. এগুলো সাধারণত ক্ষতিকারক না, কিন্তু বায়োপসি এর মাধ্যমে আমরা পায়ুপথের ক্যান্সার এর দেখাও পাই এসব নমুনা থেকে. এবং, অবশ্যই ক্যান্সার নিশ্চিত করতে একজন প্যাথোলজিস্টকে মাইক্রোস্কোপির মাধ্যমে বায়োপসি করতে হবে.”
“যখন শরীরে একটি অস্বাবাভিক টিসু দেখা যায়, তখন চিকিৎসক রুগীকে বায়োপসি করতে পাঠায় এবং চিকিৎসা পদ্ধতি সম্বন্দে পরে সিদ্ধান্ত নেয়. উধাহারণস্বরূপ, স্তন্যের লাম্প থেকে সুক্ষ সুই এর মাধ্যমে টিসু সংগ্রহ করা. এই নমুনা সাধারণত ১-২ সেন্টিমিটার লম্বা ২ মিলিমিটার এর বেশি প্রস্থে হয়না, এটা পাঠানো হয় প্যাথোলজিস্টের কাছে পরীক্ষা করবার জন্য যে এটা কি স্বাবাভিক নাকি ক্যান্সার যুক্ত. স্বাভাবিক হলে সাধারণত ছোট একটা অপেরেশনের মাধ্যমে বর্ধিত টিসু কেটে আনা হয়. কিন্তু যদি এটা তে
ক্যান্সার পাওয়া যায় তবে এটা জটিল হয়ে যায় এবং প্রয়োজনে
পুরো স্তন ও কেটে ফেলতে হয় এবং তা বায়োপসি এর জন্য আবার পাঠাতে হয়. যদি ক্যান্সার লিম্প নোড এ ছড়িয়ে যায় তবে তা ও অপারেশন করে কেটে ফেলতে হয়”.
ক্ষুদ্র নমুনার মাধ্যমে বৃহৎ চিকিৎসাসেবা
Dr Samornmas বায়োপসি নিয়ে আরো বিস্তারিত বেখ্যা দিয়েছেন রোগ নির্ণয় এবং চিকিৎসার জন্য. " টিসু যমুনার ম্যাপ যাই হোক না কেন তাকে প্রক্রিয়াজাত করা হয় যেন তা ৩ মাইক্রনস গ্লাস স্লাইডে বসানো যায়. সার্জিকাল প্যাথলজিস্ট মাইক্রোস্কোপ এর মাধ্যমে এসব টিসু পরীক্ষা করবেন. বাকি টিসু গুলা প্যারাফিন এর মাধ্যমে ব্লক করে কমপক্ষে ১০ বছরের জন্য সংরক্ষণ করা হবে.
যদি আরো টেস্ট করার প্রয়োজন হয় যেমন, immunohistochemistry অথবা
জেনেটিক প্রোফাইলিং, তাহলে আমরা প্যারাফিন এ করা স্লাইড থেকে আরেকটা টিসু নিয়ে পরীক্ষা করতে পারি. সমস্যা হলো টিসু নমুনা খুবই ছোট হয় এবং ক্যান্সারের রুগীদের ইদানিং অনেক ধরণের টেস্ট করার দরকার হয় যেমন মলিকুলার টেস্টস
টার্গেটেড থেরাপি অথবা
ইম্মুনোথেরাপিয়ের জন্য. এটা ভালো হবেনা যদি আমরা রুগীকে একটার পর একটা বায়োপসি করাই.
প্যাথোলজিস্টের সিদ্ধান্ত নিতে হয় প্রথমেই যে কতগুলো টিসু স্যাম্পল নিতে হবে প্রথমবার বায়োপসি করবার সময়. এই সিদ্ধান্ত
অনকোলজিস্টস এর সাথে মিলে নিতে হয় যেন রুগীকে বার বার বায়োপসি করতে না হয়. যখন আমরা এই সিদ্ধান্ত নিতে পারি না যে কতগুলো স্যাম্পল লাগবে ওই সময় আমরা রেপিড টেস্ট এর মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নিতে পারি যে কতগুলো স্যাম্পল দরকার.
নিরবিচ্ছিন্ন উন্নতিসাধন
“
আমাদের প্যাথলজি ল্যাবরেটরি হলো থাইল্যান্ডের প্রথম প্রাইভেট হাসপাতাল ল্যাবরেটরি যা College of American Pathologist (CAP) দ্বারা স্বীকৃত. এটা আমাদের মেডিকেল টীম এবং রুগীদের খুবই অনুপ্রেরণা দেয় ঝোকঁ আমাদের ল্যাব থেকে কোনো ফলাফল আসে. আমরা সবসময় দলবদ্দ ভাবে কাজ করি. যদি এমন কোনো স্লাইড পাই যা থেকে পরীক্ষা করা যাচ্ছেনা তবে আমরা অন্য প্যাথোলজিস্টের সাথে আলোচনা করি.
আমরা ডিজিটাল প্যাথলজি টেকনোলজি ও ব্যবহার করি, যা খুবই সুক্ষ ভাবে আমাদেরকে ফলাফল জানাতে সাহায্য করে. উধাহরণসরূপঃসেল কাউন্টিং মডেল আমাদের সাহায্য করে সিদ্ধান্ত নেবার জন্য যে রুগী
হরমোন থেরাপিতে উপকৃত হবে কিনা”.
কৌতুহলী মনের প্রশ্নের উত্তর
প্যাথলজিস্ট সাধারণত রুগীকে কখনই সামনে সামনি দেখে না কারণ তারা শুধু রুগীর টিসু নিয়ে কাজ করে.কিন্তু মাঝে মাঝে রুগীর টেস্ট ফলাফল নিয়ে প্রশ্ন থাকে যা একমাত্র প্যাথলজিস্ট উত্তর দিতে পারে. আমি ঝকন থেকে বামরুনগ্রাদ হাসপাতালে কাজ শুরু করেছি তখন থেকে এমন অনেক প্রশ্নের সম্মুখীন হয়েছি. আমার অভিজ্ঞতা দিয়ে তাদের এমন প্রশ্নের উত্তর দেই যা রুগীদের মানুষিক শান্তি দেয়. আমি এখনো রুগীদের খবর পাই তাদের আত্মীয়স্বজনের মাধ্যমে.
আমিও ছিলাম এবং এ রাস্তা পার করেছি
“আমি নিজেই একজন Horizon Regional Cancer center এর ক্যান্সারের রুগী ছিলাম. ছয় বছর পার হয়ে গেলো, আমি এখনো নিয়মিত পরীক্ষা করিয়ে থাকি. আমি আমার চিকিৎসকের নির্দেশ মেনে চলি এবং আন্টি-হরমোন ওষুধ সেবন করি. আমি আমার নিজেকে শারীরিক ভাবে সুস্থ রাখার চেষ্টা করি এবং আমি আমি যদি কাওকে না বলি তবে কেও বুজতে পারবেনা যে আমি ক্যান্সারের রুগী ছিলাম. আমি অন্য ক্যান্সার রুগীদের বলতে চাই যে কক্ষনো আশাহত না হতে. আমি এখনো আছি, আমার সুখী জীবনযাপন করছি. আমি নিজ চোখ অনেক ক্যান্সারের রুগী দেখেছি যারা ক্যান্সারমুক্ত হয়েছে এবং সুখী জীবনযাপন করছে শুধুমাত্র মনোবল না হারাবার জন্য এবং লড়াই চালিয়ে যাবার জন্য”. Dr সামর্ম্মাস এই আলোচনার সবশেষে এমন কথাই বললেন.
For more information please contact:
Last modify: November 19, 2020