bih.button.backtotop.text

ক্যান্সারের জন্য রেডিয়েশন থেরাপি: নিরর্থক ভয়

মূল্যবান এই কথাগুলো সহকারী অধ্যাপক Dr. Sunantha Srisubut-Ploysongsang-এর মুখ থেকে শোনা, তিনি সর্বদা চেষ্টা করেন রোগীদের চিকিৎসার ফলে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াগুলো যতোটা সম্ভব কমিয়ে আনা যায়, এবং তারা যেন ক্যান্সার থেকে মুক্তি পেয়ে তাদের সাধারণ জীবনে ফিরে যেতে পারে


রোগীর জন্য সর্বোত্তম পন্থাটি খুঁজে বের করা

দীর্ঘ সময়কাল যাবত রেডিয়েশন থেরাপির অর্থ হচ্ছে রোগীদের উপর এর স্বল্প প্রভাব বিস্তার করা ক্যান্সারের ধরণের উপর ভিত্তি করে চিকিৎসার সময়কাল নির্ধারণ করা হয় Dr. Sunantha হরাইজোন রিজিওনাল ক্যান্সার সেন্টার, বামরুনগ্রাদ হাসপাতালের একজন অনকোলজিস্ট (ক্যান্সার বিশেষজ্ঞ) এবং রেডিওলজিস্ট, তিনি আমাদের বলেন যে, “রেডিয়েশন থেরাপিতে কোন ব্যথা নেই, অনেকটা এক্স-রে-এর মতো। রোগীর অবস্থার উপর ভিত্তি করে কোর্সের সময়কাল নির্ধারণ করা হয়। প্রোস্টেট ক্যান্সারের জন্য আট সপ্তাহের রেডিয়েশন থেরাপির প্রয়োজন হতে পারে, অন্যদিকে ব্রেস্ট ক্যান্সারের জন্য ছয় সপ্তাহ এবং ফুসফুসের ক্যান্সারের জন্য ছয় থেকে সাত সপ্তাহের থেরাপির প্রয়োজন হতে পারে। রেডিয়েশনের ফলে রোগীর দেহের সুস্থ কোষগুলো ধ্বংসের হার যতোটা সম্ভব কমিয়ে আনার জন্য এই থেরাপিটি দীর্ঘ সময় নিয়ে সম্পন্ন করা হয়”।
 
Dr. Sunantha আরও বলেন যে, “কিছু কিছু সময় রোগীরা রেডিয়েশন থেরাপি উচ্চ মাত্রায় প্রয়োগ করতে বলেন যাতে করে তারা এর থেকে দ্রুত মুক্তি পেতে পারেন। কিন্তু আমরা তা করতে পারি না। চিকিৎসার পরবর্তীতে রোগীদের জীবন-মাণের ব্যাপারেও আমাদেরকে ভাবতে হয়”।
 
“চিকিৎসার পূর্বে আমরা সবসময় আমাদের রোগীর সাথে চিকিৎসার পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াগুলো নিয়ে আলাপ-পরামর্শ করে থাকি, যাতে করে সামনে কি হতে যাচ্ছে সে ব্যাপারে তারা ধারণা করতে পারেন। তারা মুখ বা ঘাড়ে ব্যথা অনুভব করতে পারেন, মুখ শুকনা লাগতে পারেন, গিলতে সমস্যা হতে পারে, অথবা ওজন কমে যেতে পারে। এই পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াগুলো কিভাবে কমিয়ে আনা যাবে সে ব্যাপারে ডাক্তার পরামর্শ দিবেন কিংবা কোনো পুষ্টিবিদের কাছে যেতে বলতে পারেন”।
 
রেডিয়েশন থেরাপিতে শরীরের ক্যান্সার কোষগুলো ধ্বংস করার জন্য উচ্চ-শক্তিযুক্ত রেডিয়েশন বিম বা বিকিরণ রশ্মি ব্যবহার করা হয়। Dr. Sunantha 23 বছর যাবত হরাইজোন ক্যান্সার সেন্টারে কর্মরত আছেন এবং তিনি তার চিকিৎসা পদ্ধতি বর্ণনা করে বললেন, “আমি সবসময় রোগীদের সাথে কথা বলা এবং তাদের ব্যাপারে বিস্তারিত জানার মাধ্যমে চিকিৎসা শুরু করি। উদাহরণস্বরূপ, ফুসফুসের ক্যান্সারে আক্রান্ত রোগীর ক্ষেত্রে আমি প্রথমে তাদের জিজ্ঞাসা করি যে, তাদের কি নিঃশ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছে কিনা, অথবা তাদের কাশি হচ্ছে কিনা, বা শরীরে জ্বর আছে কিনা। কারণ এই সবগুলো লক্ষণই একটি আরেকটির সাথে সম্পর্কিত এবং এর ফলে সংক্রমণ বা প্রদাহ হতে পারে”।
 
“এছাড়াও টিউমারটি কোথায় আছে এবং এর আকার কতটুকু বা সেখানে কোনো রক্তক্ষরণ আছে কিনা সে ব্যাপারগুলো আমাদের সুনির্দিষ্টভাবে জানতে হয়। উদাহরণস্বরূপ, বেশিরভাগ ব্রেস্ট ক্যান্সার রোগীদের ক্ষেত্রে তারা স্বেচ্ছায় তাদের স্তন সংরক্ষণের কথা জানান। এটি সফলভাবে সম্পন্ন করার জন্য টিউমার এবং লিম্ফ নোড অপসারণ করার পর অবশ্যই রেডিয়েশন থেরাপির ব্যবস্থা করতে হবে। ক্যান্সারটি কোন পর্যায়ে আছে সে ব্যাপারে আমাদের নিশ্চিত হতে হয়, এবং যেকোনো ধরণের জটিলতার ক্ষেত্রে বিকল্প চিকিৎসার ব্যবস্থা রাখতে হয়”।
 

বিশেষ যত্ন যা চিকিৎসার চেয়েও অনেক বেশি কিছু

ক্যান্সার ডায়াগনোসিস এবং রেডিয়েশন থেরাপিতে দীর্ঘ অভিজ্ঞতা-সম্পন্ন Dr. Sunantha উপলব্ধি করেছেন যে, রোগীদের চিকিৎসা শুরুর ক্ষেত্রে সবথেকে ভালো উদ্যোগটি হল তাদের মধ্যে আস্থা তৈরি এবং ইচ্ছাশক্তি জাগিয়ে তোলা। সবথেকে ভালো ফলটির জন্য রোগীদের তাদের চিকিৎসার প্রতি বিশ্বাস রাখতে হবে। “আমি প্রায়ই অনকোলজিস্ট বা টিউমার বিশেষজ্ঞদের ফিল্মগুলো রোগীর সামনে বসেই দেখার পরামর্শ দিই। আমরা খোলামেলাভাবেই রোগীর সাথে তার শারীরিক অবস্থা নিয়ে আলোচনা করি এবং তাদের পরীক্ষানিরীক্ষা করি। এবং এসকল কাজে রোগীরাও স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করেন। ফলে তারা আমাদের কাজের পদ্ধতি দেখতে পারেন এবং যেকোনো ধরণের প্রশ্ন করতে পারেন। এই কাজগুলো করার ফলে চিকিৎসা নিয়ে রোগীর মধ্যে সকল প্রকার ভয় এবং উদ্বেগ দূর হয়”।
Dr. Sunantha রেডিয়েশন থেরাপি নিয়ে রোগীদের মধ্যে কিছু ভুল ধারণার কথা বললেন। তিনি হাঁসতে হাঁসতে বললেন যে, “কেউ কেউ আসলেই বিশ্বাস করেন যে রেডিয়েশন থেরাপি নিউক্লিয়ার বিস্ফোরণের মতন একটি বিষয়”। Dr. Sunantha বারবার রোগীদের তাদের অনুভূতির কথা জিজ্ঞাসা করতে বললেন, যাতে করে তারা তাদের ভয় এবং উদ্বেগ প্রকাশ করতে পারেন এবং তাদের সাথে কি হচ্ছে সে ব্যপারগুলো বুঝতে পারেন। তিনি আরও বললেন যে, “তারা সত্যিই ভেবেছিলেন যে এখানে বিগ ব্যাং জাতীয় কিছু হবে, যা অত্যন্ত ব্যথাদায়ক হবে। কিন্তু ব্যাপারটি আসলে একদমই এমন নয়! আমি প্রায়ই রেডিয়েশন থেরাপির সময় রোগীর স্বজনদের সাথে থাকার পরামর্শ দিই, যাতে করে তারা রোগীকে আমার বলা কথাগুলো মনে করিয়ে দিতে পারেন। রোগীদের এতো সকল ঝামেলার সম্মুখীন হতে হয় যে তারা ভালোভাবে সবকিছু মনে করতে পারেন না”। “আমি এভাবেই তাদেরকে বোঝাই যে আমি তাদের কথা ভাবছি এবং তাদের সুস্থতার প্রতি মনোনিবেশ করছি”।
 

ন্যূনতম নেতিবাচক প্রভাবের মাধ্যমে ক্যান্সার নিরাময়

“সফল ক্যান্সার চিকিৎসার পিছনে অনেক বিষয়ই কাজ করে যার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে প্রযুক্তি। উদাহরণস্বরূপ, VMAT-এর মাধ্যমে আমরা রেডিয়েশন থেরাপির মাত্রা সম্বন্ধে সুনির্দিষ্ট ধারণা করতে পারি, কেননা টিউমারের আকার বা মাত্রা প্রায়ই অনিয়মিত হয়ে থাকে। মেশিনটি রোগীর দেহে টিউমার বা ক্যান্সারের সন্ধান করতে থাকে এবং যখন এটি কোনো ক্যান্সার সনাক্ত করে তখন মেশিনটি সেই স্থানে উচ্চ মাত্রার রেডিয়েশন প্রয়োগ করে। অন্যান্য স্থানগুলোর জন্য রেডিয়েশনের পরিমাণ খুবই কম হয়। এভাবে সম্পূর্ণ মাত্রা বা ডোজ একদমই ন্যূনতম পর্যায়ে রাখা হয়”।


“রোগীর মনের অবস্থা খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। সফল চিকিৎসার জন্য মানসিক চাপ এবং উদ্বেগ পরিত্যাগ করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বামরুনগ্রাদ হাসপাতালের কর্মীরা সবথেকে পেশাদার স্বাস্থ্য-কর্মীদের মধ্যে অন্যতম। রোগীরা আশ্বস্ত থাকতে পারেন যে, হরাইজোনে তারা বিজয়ী দলের সাথেই আছেন”।
 
এবং এটিই সহকারী অধ্যাপক Dr. Sunantha Srisubut-Ploysongsang-এর ক্যান্সার চিকিৎসার মূলনীতি: রোগীদের জীবনে চিকিৎসার নেতিবাচক প্রভাবসমূহ যতোটা সম্ভব কমিয়ে আনা এবং যত দ্রুত সম্ভব তাদেরকে একটি স্বাভাবিক ও সুস্বাস্থ্যময় জীবনের পথে নিয়ে যাওয়া।
 
 
For more information please contact:


Related Packages

ক্যান্সারের জন্য রেডিয়েশন থেরাপি: নিরর্থক ভয়
Rating score 0 of 10, based on 0 vote(s)

Related Health Blogs